বিজয় কর রতন, মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার থেকে বিরতিহীন লঞ্চে ১০ নির্মাণ শ্রমিক আজমিরীগঞ্জ যাওয়ার পথে সোমবার ২৬ জুন রাতে কেনো এক সময় শ্রমিকদের পান খাইয়ে অচেতন করে ৩ লক্ষ টাকা ও মালামাল নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়াছে। নির্মাণ শ্রমিকদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্ট্রগ্রামের লাউর মিঠামইনের শান্তিপুর ও আজমিরীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামের। জানা যায়,ঘটনার দিন রাতে ১০ জন নির্মাণ শ্রমিক ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রাম থেকে কাজ করে টাকা পয়সা নিয়ে নিজ নিজ গ্রামের বাড়ি আসছিলো।
তারা রাত অনুমান ১১টা সময় ভৈরব বাজার লঞ্চ ঘাটে এসে রাতের খাবার খায়। এসময় তাদের সাথে অষ্ট্রগ্রাম উপজেলার আবদুল্লাহপুরের দুজন যাএীও হোটেলে এক সাথে খাবার খায়।পরে শ্রমিকরা একএে টাকা পয়সা ও মালামাল নিয়ে বিরতিহীন লঞ্চে উঠে।
এসময় এদুজন যাএীও তাদের সাথে ছিল। নির্মাণ শ্রমিকরা লঞ্চের ডেকিতে ঘুমানোর জন্য বিছানাপাতি নিয়ে তৈরি হয়।
এসময় তাদের সঙ্গে থাকা দুজন যাএী লঞ্চ থেকে নেমে দোকান থেকে সকলের জন্য পান ও সিগারেট নিয়ে আসে। শ্রমিকরা তাদের দেওয়া পান সিগারেট খেয়ে শুয়ে পড়ে। শ্রমিকদের মধ্যে আজমিরীগঞ্জের শ্রমিক সরদার সুলতান মিয়া জানান,তিনি লঞ্চের ডেকিতে না ঘুমিয়ে লঞ্চের ছাদে উঠে ঘুমিয়ে পড়েন।ভোর রাতে লঞ্চ খানি চাতলপাড় ঘাট থেকে ছাড়ার পর তিনি ঘুম থেকে জেগে নিচে ডেকিতে যান।এবং গিয়ে দেখতে পান সঙ্গে থাকা দুজন যাএী ডেকিতে নেই। অন্যান্য সকল শ্রমিকের ব্যাগ খোলা রয়েছে। ৯টি মোবাইলের মধ্যে একটিও নেই। কাপড়ের ব্যাগও নেই। তখন সে ডাক চিৎকার শুরু করলে যাএীরা এসে বিষয়টি জেনে বাকি ৯ জন শ্রমিককে ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা করেন।কিন্তু সকলেই অচেতন অবস্থায় শুয়ে আছেন। লঞ্চে থাকা নিরাপত্তা কর্মী আনসার সদস্যরা এসে বিষয়টি অবগত হন। লঞ্চের একজন খালাসী জানান, চাতলপাড় ঘাটে মোট ৪ জন যাএী নেমেছেন এর মধ্যে দুজন যাএী হাতে দুটি ব্যাগ নিয়ে নেমে পড়েন। হয়তো এ দুজনেই এদের মধ্যে এঘটনা ঘটিয়েছে। আনসার সদস্য ও লঞ্চ কতৃপক্ষ বলেন, লঞ্চ ছাড়ার পূর্বে সকল যাএীদের সর্তক করানো হয়। যে অন্যের দেওয়া কোনো পান, সিগারেট, পানীয় জাতীয় কিছু না খাওয়ার জন্য কিন্তু শ্রমিকরা বিষয়টি না মেনে অন্যের দেওয়া পান সিগারেট খেয়েছেন। পরবর্তীতে তাদের সকলকেই আজমিরীগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়। আজমিরিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার পর সকলেই জ্ঞান ফিরে।পরে শ্রমিকদের নিজ নিজ বাড়িতে খবর পাঠিয়ে তাদেরকে পৌঁছে দেওয়া হয়।
সুলতান আরও জানান, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে নগদ ৩ লক্ষ টাকা ও প্রায় ৩০ হাজার টাকার কাপড় সহ অন্যান্য মালামাল চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসে।এবছর তাদের আর কোরবানি দেওয়া হবে না।তাদের সন্দেহ সঙ্গে থাকা আবদুল্লাহ পুরের দুজন যাএী পানের সাথে নেশা জাতীয় জিনিস খাইয়ে অচেতন করে সর্বস্ব নিয়ে গেছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: