• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ডিসেম্বরে আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পাবে বাংলাদেশ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৪২ এএম
আগামী ডিসেম্বরে পেতে আমরা আশাবাদী
imf logo & bb

নিউজ ডেস্ক:  ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের( রিভিউ কমিশন) । বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন । এখন আইএমএফের বোর্ড অনুমোদন করলে ডিসেম্বর নাগাদ দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পাবে বাংলাদেশ ।

৪ অক্টোবরে আসা আইএমএফ রিভিউ মিশনের কাজ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে । প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সমাপনী সভা করে । এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা কথা জানিয়ে বলেন, ‘ আমাদের প্রস্তাবে তারা রাজি হয়েছেন । দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার আগামী ডিসেম্বরে পেতে আমরা আশাবাদী । ’

আইএমএফ এর বিবৃতিতে বলা হয়ছে, প্রথম কিস্তির রিভিউ সম্পন্ন করার জন্য যেসব নীতি গ্রহণ প্রয়োজন, সেসব বিষয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আইএমএফ কর্মকর্তাদের বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছে । আইএমএফর মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ বলেন, ‘ কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত এখন আইএমএফ বোর্ডে তোলা হবে অনুমোদনের জন্য । ’

তবে কেউ স্পষ্ট করেননি যে কোন বিষয় নিয়ে সমঝোতা বা ঐক্যমত্য হয়েছে । শর্তপূরণের ব্যাপারে কী হয়েছে । আইএমএফের শর্তপূরণে বাংলাদেশ কীভাবে কাজ করবে ।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, সম্ভবত আইএমএফ রিজার্ভ ও রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে বাংলাদেশকে কিছুটা ছাড় দিয়েছে । তবে আরও যে ঋণ বাকি আছে তা পেতে বাংলাদেশকে পর্যায়ক্রমে শর্ত পূরণ করতে হবে । তবে রিভিউ মিশন অনুমোদন করলে বোর্ড সেটাই অনুমোদন করে । কমিটির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট যখন প্রকাশ হবে তখন কোন কোন বিষয়ে, কী শর্তে সমঝোতা হয়েছে তা জানা যাবে বলে জানান তারা ।

চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি আইএমএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে ।২.২ শতাংশ সুদে মোট সাত কিস্তিতে ৪২ মাসে এই ঋণ দেওয়ার কথা বলা হয় । গত ফেব্রুয়ারিতে ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ । আগামী নভেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৪ কোটি ১০ লাখ ডলার পাওয়ার কথা ছিলো । এখন ডিসেম্বরে সেটা পাওয়া যেতে পারে ।

আইএমএফ এই ঋণ দেয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত বেধে দেয় । এর মধ্যে অন্যতম হলো রিজার্ভ থাকতে হবে ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং কর- জিডিপির অনুপাত০.৫ শতাংশ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে । আরও যেসব শর্ত তা হলো, রিজার্ভের হিসেব করতে হবে আইএমএফের অনুসৃত পদ্ধতিতে, বৈদেশিক মুদ্রার দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া, খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনা । ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কার । রাজস্ব প্রশাসনের দক্ষতা এবং আয় বাড়ানো । জ্বালানি পণ্যের দাম সমন্বয় । এসবের জন্য সময়ও বেধে দেয়া হয় ।

প্রথম কিস্তির ঋণ দেওয়ার পর দ্বিতীয় কিস্তি দেয়ার আগে গত ৪ অক্টোবর আইএমফের রিভিউ মিশন বাংলাদেশে আসে । বৃহস্পতিবার তারা এই মিশনের কাজ শেষ করেছে । তারা এই সময়ে ঋণের শর্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি নিয়ে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেছেন ।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image