• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০১ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কিশোরগঞ্জের নদীগুলোতে বাড়ছে পানি, ফেরি চলাচল বন্ধ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৪৬ পিএম
কিশোরগঞ্জের নদীগুলোতে বাড়ছে পানি
 ফেরি চলাচল বন্ধ

বিজয় কর রতন, মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: নদীগুলোতে-বাড়ছে-পানি-হাওরে-ফেরি-চলাচল-বন্ধফেরিঘাটের সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। 

শনিবার (২৪ জুন) কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রতিদিনই হাওরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনও কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের কারণে কিশোরগঞ্জের হাওরের নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন ফেরিঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এতে সড়কপথে জেলা শহরের সঙ্গে হাওরের সকল ধরনের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সাহায্যে কোনোমতে শহরে যাতায়াত করছে হাওরের মানুষজন। তাদের ভাষ্যমতে, আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত যাতায়াতের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। মিঠামইনের কামালপুরের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, ‘গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে হাওরের নদীতে প্রতিদিন পানি বেড়েই চলেছে।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন সাব-মার্সিবল সড়ক ডুবতে শুরু করেছে। ঘাটগুলোতেও পানি উঠে যাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এখন ইঞ্জিনচালিত ছোট ছোট নৌকা দিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে।’নদীগুলোতে বাড়ছে পানি, হাওরে ফেরি চলাচল বন্ধ তিনি বলেন, ‘মিঠামইন থেকে নদী পথে বালিখলা যেতে অনেক বেশি সময় লাগে। অন্যদিকে গাড়ি দিয়ে ফেরি পার হয়ে যেতে সময় লাগত মাত্র ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা। এতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’এ ছাড়া পণ্য পরিবহনেও সমস্যা হচ্ছে জানান তিনি। ইটনা উপজেলার ছিলনী গ্রামের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত যাতায়াতের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের। এখন এমন একটা সময়, পানিও না, শুকনোও না। ফলে না পারতেছি সরাসরি নৌকায় যেতে, না পারতেছি গাড়িতে যেতে। শুকনো মৌসুমে তো সরাসরি গাড়িতে যেতে পারতাম। আর ভরা বর্ষা ছাড়া নৌকায় গেলেও সময় অনেক বেশি লাগে।’ ইটনা উপজেলার লাইমপাশা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর ফরিদ বলেন, ‘অতীতে বর্ষায় নৌকা আর শুকনো মৌসুমে পায়ে হাঁটা ছাড়া যাতায়াতের কোনো উপায় ছিল না। এ সরকারের আমলে হাওরে অলওয়েদার সড়কসহ ও অসংখ্য সাব-মার্সিবল সড়ক নির্মাণ হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। হাওরের তিন উপজেলাতে (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) সারাবছর যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন যদি শহরের সঙ্গে সারাবছর যাতায়াতের ব্যবস্থাটা হয়ে যায়, তবে হাওরবাসীর আর কোনো দুর্ভোগ থাকবে না।’নদীগুলোতে বাড়ছে পানি, হাওরে ফেরি চলাচল বন্ধ জেলা সওজ সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার সঙ্গে শুকনো মৌসুমে সড়কপথে জেলা শহরের যাতায়াতের জন্য মিঠামইন-করিমগঞ্জ ও ইটনা-করিমগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন নদীতে পাঁচটি ফেরি চালু করে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর। এর মধ্যে মিঠামইন-করিমগঞ্জ সড়কের ঘোড়াউত্রা নদীর মিঠামইন সদরে শান্তিপুর ঘাট ও বাউলাই নদীতে করিমগঞ্জ সুতারপাড়া ইউনিয়নের বালিখলা ঘাটে দুইটি ফেরি।

এছাড়াও ইটনা-করিমগঞ্জ সড়কের ধনু নদীতে ইটনা সদর ইউনিয়নের বলদা ঘাট, ধনু নদীর শাখা নদী বড়িবাড়ি ইউনিয়নে বড়িবাড়ি ঘাট ও বাউলাই নদীর করিমগঞ্জের চামড়া বন্দরে তিনটি ফেরি চলাচল করে। কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘পানি বৃদ্ধির কারণে ফেরিঘাটের সড়ক তলিয়ে গেছে। তাই ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’ কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিনই হাওরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনও কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image