• ঢাকা
  • শনিবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৫ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কালাইয়ে ভুয়া ডিজিএফআই'র সদস্য আটক


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০১:০৬ পিএম
কালাইয়ে ভুয়া ডিজিএফআই'র সদস্য আটক
সাইফুল ইসলাম

কালাই প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার নান্দাইলদীঘি গ্রামের বিমান বাহিনীতে চাকরীপ্রাপ্ত এক সদস্যর ভেরিফিকেশনের কথা বলে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই’র সদস্য পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতে যায় সাইফুল ইসলাম (৫৩) নামের এক ব্যক্তি। 

এ সময় তাকে দেখে সন্দেহ হলে পরিবারের লোকজন কালাই থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরিবারের লোকজনের গতিবিধি বুঝে ভূয়া ডিজিএফআই’র পরিচয়দানকারী মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে তার মোটরসাইকল ছেড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার ব্যবহারকৃত মোটরসাইকল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা উপজেলার নাদাইলদীঘি গ্রামে ঘটেছে। 

প্রতারক নিজেই শুক্রবার বিকাল চারটার দিকে মোটরসাইকেলের খোঁজে থানায় আসলে পুলিশ গ্রামবাসীর ধারনকৃত ভিডিও দেখে তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারি।  

আটককৃত সাইফুল ইসলাম জয়পুরহাট সদর উপজেলার পূর্ব পারুলিয়া গ্রামের মৃত দারাজ উদ্দিনের ছেলে। 

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারি জানান,কিছুদিন আগে উপজেলার নান্দাইলদীঘি গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা বাংলাদশ বিমান বাহিনীতে চাকরীপ্রাপ্ত হয়ে প্রশিক্ষণে আছেন। মাসুদ রানার কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতারক সাইফুল ইসলাম ডিজিএফআই’র সদস্য পরিচয় দিয়ে তার বাড়ীতে যান। মাসুদ রানার নামের বানান ভুল আছে মর্মে কাগজপত্র নতুন করে ঠিক করেত হবে। তা না হলে মাসুদ রানা প্রশিক্ষণ শেষে চাকরীতে যোগদান করতে পারবেনা। এজন্য প্রতারক সাইফুল মাসুদ রানার পরিবারের নিকট দেড় লাখ টাকা দাবী করেন। তার কথাবার্তা শুনে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। এ সময় তারা পুলিশকে খবর দেয়। প্রতারক পরিবারর লোকজনদের গতিবিধি বুঝে মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে তার মোটরসাইকেল রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মোটরসাইকেল এবং গ্রামবাসীর ধারনকৃত ভিডিও থানায় নিয়ে আসেন।

মাসুদ রানার বাবা আনিসুর রহমান বলেন,তাকে দেখে প্রথম থেকেই সন্দেহ হয়েছিল। কাগজ ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে দেড় লাখ টাকা চায়। তাই আমি পুলিশকে খবর দেই। মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে সে পালিয় যায়। যখন সে বাড়ীতে আসছিল তখন আমার স্ত্রী ওর ভিডিও করেছে। সেই ভিডিও আবার পুলিশকে দেয়া হয়েছে। শুনতে পেলাম ওকে নাকি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image