• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ময়মনসিংহে ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে তীব্র জলজট


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০১:০৬ পিএম
ময়মনসিংহে ৪০০ মিলিমিটার
বৃষ্টিতে তীব্র জলজট

মোঃ  নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ : গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যা বিগত একশত বছরেও এত অধিক পরিমাণে বৃষ্টি হয়নি।

ময়মনসিংহে স্মরণকালের ভয়াবহ বৃষ্টিপাতে  নগরীর পুরনো ২১টি ওয়ার্ডের একতলা বহু বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে তীব্র জলজট। ময়মনসিংহ নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশেষ করে ১৯ ওয়ার্ডের নীচু এলাকার পানি নিষ্কাশনে ভাটিকাশর বড়বাড়ি থেকে কেওয়াটখালী হয়ে ব্রহ্মপূত্র নদে রাস্তার মাঝখানে বৃহৎ ইউ ড্রেন নির্মাণ করে এর উপর স্লাব বসানোর জন্য প্রকৌশলী মোঃ মজিবুর রহমান জানান।  ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার উন্নত ও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেয়া জরুরি বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। 

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দিনভর ও সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত টানা  অতিবর্ষণে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সরকারি হাসপাতাল, বাসাবাড়ি, বিপণি বিতানে পানি প্রবেশ করে লাখ লাখ টাকার মালামাল পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। নগরীর কেওয়াটখালীতে বিদ্যুৎ বিভাগের কন্ট্রোলরুম জলমগ্ন হওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে  টানা ১৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় অন্ধকারেও নিমজ্জিত হয়ে নানা দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এদিকে দ্রুত পানি সরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে একটি টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশন মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু।

ময়মনসিংহের নগরবাসী জানান, গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও বুধবার রাতভর এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়। বিকেল থেকে বর্ষণের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে নগরীর ড্রেনগুলো উপচে পানি ছড়িয়ে পড়ে। সড়ক উপচে বাসাবাড়ি, বিপণি বিতানে পানি প্রবেশ করে।

এছাড়াও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে পানি স্টাফ কোয়াটারগুলোর নিচতলা পানি ঢুকে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালু রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রচণ্ড বৃষ্টিতে পানি বেড়ে গেছে। ওয়ার্ডে এখনও পানি পৌঁছায়নি।

বিজ্ঞাপন।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, রেলপথ পানিতে তলীয় যাওয়ায় সিগন্যাল পয়েন্ট কাজ করছে না। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। রেলওয়ের পরিবহণ বিভাগের পরিদর্শক মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, পানিতে লাইন তলিয়ে থাকায় সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ট্রেন পার করতে হচ্ছে।

এদিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কন্ট্রোল রুমে পানি উঠে পড়ায় রাত পৌনে ৯টা থেকে নগরীর প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট গ্রিড অব কোম্পানি (পিজিসিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল হক বলেন, টানা বর্ষণে পুরো গ্রিডে পানি উঠলেও এখনও নিরাপদ স্থানে রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবির) প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কেওয়াটখালী কন্ট্রোল রুমে পানি উঠে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টা থেকে নগরীর ৫০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হলেও স্বাভাবিকভাবে পানি না কমায় রাতে বিদ্যুৎ চালু করা যায়নি। পরে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে পূনরায় বিদ্যুৎ চালু করা হয়।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। স্মরণকালের ভয়াবহ অবস্থা বৃষ্টি হয়েছে। এটা শুধুই বৃষ্টি নয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। পানি নিষ্কাশনের ভাটিতেও জলাবদ্ধ হওয়ায় ধির গতিতে পানি নামছে। বৃষ্টি কিছুটা কমায় কিছু কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। এদিকে  দ্রুত পানি সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে একটি টিম করে দেওয়া হয়েছে। ভয়াবহ বৃষ্টি হওয়ায় মানুষের সাময়িক কষ্ট হচ্ছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image