
নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপূজায় কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পূজার সংখ্যা বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। তবে তিনি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও পুরো বিষয়টি শুনেছেন।
বুধবার ওয়াশিংটন ডিসির পাশে ভার্জিনিয়ায় একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, প্রায় ত্রিশ মিনিট স্থায়ী এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে সব কথা শুনেছেন। গত ১৫ বছরে সংখ্যালঘুদের জন্য কি কি করেছেন তার একটি পরিসংখ্যানও বৈঠকে তুলে ধরেছেন। বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষে অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত, শিতাংশু গুহ, রুপ কুমার ভৌমিক, ড. দিলীপ কুমার নাথ, শ্যামল চক্রবর্তী ও শুভ রায় অংশ নিয়েছেন।
শিতাংশু গুহ বলেন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও আগামী শারদীয় দুর্গাপূজায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আলোচনার পুরোটা সময়জুড়ে তিনি আমাদের দাবিগুলো শুনলেন।
ড. দিলীপ নাথ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিরা আবারো প্রধানমন্ত্রীর কাছে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাশের দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে সংখ্যালঘু নেতারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে স্মারকলিপি দেন।
তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা ২০১৯ সালে সংসদের প্রথম অধিবেশনে পূরণ করা হলে ধর্মীয় মৌলবাদী ও উগ্রপন্থীরা ২০২০ সালে মুরাদনগরে কিংবা ২০২১ সালে কুমিল্লায় শারদোৎসবে নারকীয় তান্ডব চালানোর দু:সাহস তো করতই না।
নেতারা জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যেসব কথা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তারা একই কথা বলেছেন। কিন্তু সংখ্যালঘুদের জন্য প্রধানমন্ত্রী আগামী অধিবেশনেই সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করবেন কি না -এ নিয়ে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: